1. nazmulrj40@gmail.com : md nazmul : md nazmul
  2. mizansatkhirapress@gmail.com : Satkhira Barta : Satkhira Barta
  3. tasahmed7@gmail.com : satkhira barta : satkhira barta
  4. shohaghassan0912@gamil.com : মোহনা নিউজ : মোহনা নিউজ
শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

ইট ভাটা মালিকের ফাঁদে শ্রমিক সর্দার কাঁদে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩৭ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি:

ইট ভাটা মৌসুমের শুরু থেকে শ্রমিক নেওয়া হয় ভাটা গুলোতে। ছয় মাসের চুক্তি বদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা গুলো থেকে ইট ভাটার কাজে যায় শ্রমিকেরা।

মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনোদিনই ছুটি পাওয়া যায় না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে এক থেকে দুই দিন ছুটি দেয়। এর বেশি নয়। সর্দার কর্তৃক কাজের শুরুতে শ্রমিকদের সঙ্গে মজুরির চুক্তি করে নিলেও ‘অনেক সময় ছয় মাসেও মৌসুম শেষ হয় না। বর্ষা না আসা পর্যন্ত ইট তৈরির কাজ চলে। তখন নতুন করে আর শ্রমিক পাওয়া যায় না। সেজন্য আগের শ্রমিকদেরই থাকতে বাধ্য করা হয় এমনকি শ্রমিকরা পর্যাপ্ত মজুরি তো পায়ই না, সেই সঙ্গে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। এমনটাই ঘটে হরহামিশে।

ইটভাটায় যিনি বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক জোগাড় করেন, তাকে বলে শ্রমিক সর্দার। তার তত্ত্বাবধানে শ্রমিকরা মাটি কাটা থেকে শুরু করে ইট বিক্রির আগ পর্যন্ত সব কাজ করেন। শ্রমিক সর্দার ভাটা মালিকের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে পরিশোধ করেন শ্রমিকদের । অনেক সময় দেখা যায় শ্রমিক সর্দারের টাকা আটকে যায় ভাটা মালিকের কাছে,এতে বিপাকে পড়ে সর্দার ও শ্রমিকেরা । ইট ভাটা মালিকদের এমন কর্মে, ফেরারি হতে দেখা যায় শ্রমিক সর্দারদের ।

এমনই এক ঘটনার শিকার হলেন, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরের শ্রমিক সর্দার নজরুল ইসলাম। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি গত বছর ভাটা মৌসুমের শুরুতে ৬০ জনের অধিক শ্রমিক নিয়ে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার রুমী ব্রিকস ও কাউখালি থানার খান ব্রিকস এর সত্ত্বাধিকারী জসীমের ইট ভাটায় নিয়ে যায় ।

জসীম শ্রমিকদের তার দুই ইটের ভাটাতে কাজে লাগিয়ে দেয় এবং আমাকে শ্রমিকের কাজের বাবদ, রুমী এন্টারপ্রাইজ এর নামীয় ৪৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮২০ টাকার ইসলামি ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করেন। চেকটি নিয়ে ব্যাংকে গেলে জানতে পারি তাতে কোন প্রকার টাকা নেই । বিষয়টি নিয়ে আমি ভাটা মালিক জসীমের নিকট কথা বললে তিনি পরে দিবে বলে জানান। কিন্তু তিনি কয়েক মাস ঘুরিয়েও টাকাটা পরিশোধ করেননি। এদিকে শ্রমিকেরা আমার এলাকার পরিচিত হওয়াতে টাকার জন্য আমার বাড়িতে আসছে দিন-রাত,আমি গরিব মানুষ এত টাকা কিভাবে পরিশোধ করব। পরে চেকটি নিয়ে একটি মামলা করেছি এখন দেখি কি হয় । তিনি আরো বলেন, জসীমের মতো চিটারের খপ্পরে পড়ে আমি আজ সব হারিয়েছি,নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে আজ পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে, শুধু আমি নই আমার মতো অনেকে আছে যারা জসীমের কাছে তাদের কাজের টাকা পাই ।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাজায়, ভাটা মালিক জসীম খান পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার ভিটাবড়িয়া গ্রামের সালাম খান এর বড় ছেলে। তার দুই আপন সহোদর অসীম খান ও উজ্জ্বল খান এই ভাটা দেখা শোনা করেন । তারা দেশের বিভিন্ন জেলার শ্রমিক সর্দার,বালি ব্যবসায়ী,মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাল ক্রয় করে নগদ টাকাতে পরিশোধ নাকরে শূন্য ব্যাংকের চেক হাতে ধরিয়েদেন,পরবর্তীতে বিপাকে পড়ে যায় এই মানুষ গুলো। পাওনা টাকা চাইতে গেলে বেরিয়ে আসে তাদের আসল চেহারা,মিথ্যা মামলা সহ খুন গুমের মতো হুমকিও দিয়ে থাকেন বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি । সবাই এখন আমার মতো কোর্টে মামলা করে বসে আছে । এদিকে ভুক্ত ভুগিদের দাবি একাধিক চেকের মামলার ওয়ারেন্ট থাকলেও সে কেন আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে ?

এবিষয়ে জানতে চাইলে জসীম খান মুঠো ফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি করোনা কালীন সময়ে অনেক ধরা খেয়ে গেছি, টাকা যদি দিতে নাই-চাইতাম তাহলে তাদের কাছে আমি চেক দিতাম-না, আমি কয়েক মাস পরে তাদের টাকা পরিশোধ করে দিব।

প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট এমন প্রতারক ভাটা মালিক জসীমের বিচারের দাবি জানান সচেতন মহল ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রধান উপদেষ্টা

মো: মোশারফ হোসেন
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট