মোঃজাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে ৩১শে জানুয়ারী হতে ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত জাতীয় পিঠা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসবে স্টল বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করার অভিযোগে কালচারাল অফিসার মিনা আরা পারভীনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে আমরা উত্তরবঙ্গের উদ্যোক্তা অনলাইন গ্রুপ। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর প্রেসক্লাব নিমতলায় সংবাদ সম্মেলন করেন আমরা উত্তরবঙ্গের উদ্যোক্তা গ্রুপের এডমিন ফাতেমা ফেরদৌসী মুক্তি ও মানতাসা রহমান সহ আরোও কয়েকজন উদ্যোক্তা বর্গ। তারা লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমিক কালচারাল অফিসার মিনারা পারভীন নিজস্ব স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণের কারণে সরকারি জাতীয় পিঠা ও লোক সংস্কৃতি উৎসব মেলায় স্টলের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করেও আমাদেরকে কোন স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি । পক্ষান্তরে দিনাজপুরের উদ্যোক্তা বর্গ নামে একটি গ্রুপকে ১৮ ও অনলাইন শপিং গ্রুপ নামে আরও একটি গ্রুপকে ৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয় । নির্ধারিত সময়ে জাতীয় পিঠা ও লোক সাংস্কৃতিক উৎসব মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেও আমাদেরকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে । একটি সরকারি প্রোগ্রামটাকে ব্যক্তিগতভাবে ও স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতিত্তমূলক আচরণ করেছেন কালচারাল অফিসার মিনারা পারভীন । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যখন আমরা স্টল বরাদ্দ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছিলাম । জেলা প্রশাসক বিষয়টি মৌখিকভাবে মিনারা বেগমকে একটি স্টল বরাদ্দের জন্য নির্দেশ প্রদান করলেও জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা কে অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে আরো কয়েক নাম সর্বস্ব উদ্যোক্তাদেরকে ডেকে নিয়ে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয় । জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার কথা কালচারাল অফিসার মিনারা বেগমকে বলা হলেও তিনি উল্টো ক্ষোপ ঝেড়ে বলেন, এটি আমার একান্ত ব্যাপার আমি কাকে স্টল বরাদ্দ দিব সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয় এখানে কারো হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। দিনাজপুর কালচারাল অফিসার মিনারা বেগম দিনাজপুরের শহরের বাসিন্দা হওয়ায় তার একক প্রভাব রয়েছে । এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে কালচারাল অফিসার হিসেবে আসার পর থেকেই তার একক আধিপত্য বিস্তর করার লক্ষ্যে কিছু নাম সর্বস্ব নারী উদ্যোক্তাদেরকে সাথে নিয়ে তার নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন । প্রকৃত উদ্যোক্তা এতে করে নিরুৎসাহিত হচ্ছে । এই ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা কালচারাল অফিসার কে দ্রুত সময়ে মধ্যে দিনাজপুরের এই শিল্পকলা থেকে অপসারণের দাবিও করেন । জাতীয় পিঠা ও লোক সংস্কৃতি উৎসবকে ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের অনুষ্ঠান মনে করছেন। তিনি আরো বলেন, দিনাজপুর শিল্পকলার কালচারাল অফিসার মিনারা বেগম পিঠা উৎসবে স্টল বরাদ্দের জন্য তার অফিসে বারবার ধরনা দিলেও তিনি কোনভাবেই ভ্রুক্ষেপ করেননি উল্টো মোবাইল ফোনে আমাকে প্রান নাশের হুমকি সহ অশ্লীল ভাষায় আমরা উত্তরবঙ্গের নারী উদ্যোক্তা তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছে। মিনারা পারভীনের এই কর্মকান্ডের জন্য দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করা হয়েছে । যার নাম্বার ২২২৩ । সংবাদ সম্মেলনে আমরা উত্তরবঙ্গের উদ্যোক্তা গ্রুপের আরো সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।
Leave a Reply