1. nazmulrj40@gmail.com : md nazmul : md nazmul
  2. mizansatkhirapress@gmail.com : Satkhira Barta : Satkhira Barta
  3. tasahmed7@gmail.com : satkhira barta : satkhira barta
  4. shohaghassan0912@gamil.com : মোহনা নিউজ : মোহনা নিউজ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন

ফরিদপুর জেলা কোতোয়ালী উপজেলায় কিশোর গ্যাংয়ের নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক পরিবার।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
  • ২১৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক।

(কিপাইল মোড়) এক সাংবাদিক পরিবারের ভাড়া বাসায় কিশোর গ্যাংয়ের দিন দুপুরে হামলার শিকার হয় স্রী সহ ছোট্ট দু-শিশু।
ভুক্তভোগী নির্যাতিত পরিবারের তাহমিনা বেগম এর অভিযোগ কমলাপুর (কিপাইল মোড়) এলাকার মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের সংঘবদ্ধ লিডার আরমান পিতা বাঘা মুঞ্জ এর সহোযোগী আফ্রিদি পিতা কুদরত আলী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের এসআই সহ নাম না জানা আরো ৭/৮ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গত ৮/৩/২৩ তারিখে সন্ধা ৭.৩০ মিনিটে তার ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগীর স্বামীর খোজে এসে তাকে না পেয়ে ভুক্তভোগী নারীর নিকট ৫,০০০/- হাজার টাকা চাঁদাদাবি করলে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলেই অর্তকিত ভাবে মুখ চেপে ধরে মারধর শুরু করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা নির্যাতিত নারী বলেন এক পর্যায় আমার কানে থাকা আট আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ও ১ভরি আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন জোর-পূর্বক ছিনিয়া নিয়া যায়। উহাতে আমার কানের লতি ছিড়িয়া যায়।
স্বর্ণের মূল্য ১,৬০,০০০/
(একলক্ষ ষাট হাজার) টাকা। আরো নাম না জানা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ঘরের প্রায় ২,০০,০০০/-
(দুই লক্ষ) টাকার আসবাবপত্র ভাঙ্গচুর করে নষ্ট করেও আমার বিছানার নিচে থাকা নগদ ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা ছিনাইয়া নিয়া যায়। এরা সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
এরা আমাকে মারধর করতে থাকে এবং আমার কোল থেকে আমার ছোট্ট শিশু ১৩ মাসের নাম জুবায়দা খাতুন(খাদিজা) বাচ্চা মেয়েকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আমার গায়ে থাকা উরনা কেড়ে নিয়ে আরমান ও আফ্রিদি সহ অন্যান্যরা আমার ছোট মেয়ের দু-পা উপরদিকে উরনাদিয়ে ঘরের আড়ায় বেধে ৪/৫ জন মিলে একে অপরের দিকে ঠেলে পাঠায় এভাবে দীর্ঘ সময় ঝুলাতে থাকে। এভাবে ঝুলন্ত শিশু বাচ্চার নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকলে আমি তাদের নিকট আমার বাচ্চার প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তারা আমার হাতে তাদের ফোন ধরিয়ে দিয়ে আমার স্বামীকে ফোন দিয়ে বাসায় ডেকে আনতে বলে এবং এসে কিশোর গ্যাংয়ের জিম্মি দশা থেকে বাচিয়ে নিয়ে যেতে বলতে বলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
আমি চুপচাপ তাদের মারধর ও বাচ্চাদের উপর ভিলেনী কায়দায় বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায় আমার হাতের ফোন ছিনিয়ে নেওয়া ফোন ফেরত চাইলে এবং তাদের নির্দেশে আমার স্বামীকে ঘরে তালা আটকে মারধর ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানালে কিশোর গ্যাং লিডার আরমান আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমার মাথার চুলের মুঠি ধরে ঘরের মধ্যে শুইয়ে ছেচড়িয়ে টানতে থাকে।
আর অন্যান্যরা আমার শরীরে লাথি মারতে থাকে। এদের মধ্যে আফ্রিদি ও আরমান আমাকে বিবস্ত্র করিয়া আমার শ্রীলতাহানি ঘটায় এবং আমার ফটো তুলে ফেসবুকে ভাইরাল করে দিবে বলতে থাকে এবং বাড়িওয়ালী ফিরোজা বেগম স্বামী কুদরত আলী তার
স্বামী প্রভাবশালী মহলের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশের এসআই তার মেয়ে অপরুপা পিতা কুদরত আলী ও নাম না জানা আরো দুজন নারী তদের পূর্ব পরিচিতরা বাহির থেকে ভেতরে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে আরমান ও আফ্রিদি কে উদ্দ্যেশে করে বলতে থাকে যে এই নারীর ঘরেই গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার রয়েছে ম্যাচ লাইট দিয়ে লজ্জা স্থানে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দাও যেন ঘরের ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
কেউ জিজ্ঞসা করিলে আমরা বাহিরের যারা আছি সকলকে জানাবো যে এই নারীর চরিত্র ভালো নয় সে নিজের ইচ্ছায় ঘরে পরপুরুষ ডেকে আনে ও আজ হাতে নাতে ধরা পরেছে তাই নিজেই নিজের ইচ্ছায় গ্যাসের সিলিন্ডারের আগুন জালিয়ে আত্যহত্যার চেষ্টা করেছে ইত্যাদি।
কিশোর গ্যাংয়ের আরমান ও আফ্রিদি চলে যাবার সময় জানিয়ে যায় যা কিছু ঘটেছে এসব ব্যপারে থানা-পুলিশ আদালত করলে তুই সহ তোর দুই বাচ্চা ও স্বামীকে পুনরায় এসে ধরলে খুন করে ফেলবো। উপরোক্ত তারিখের ঘটে যাওয়া ঘটনা ফিরোজা বেগম আমার শিশু বাচ্চাকে কৌশলে তার বাসায় জীবন নাশকতার হুমকি দিতে থাকলে আমি বাসা পরিবর্তন করে চলে যেতে চাইলে এবং থানা পুলিশে জানানোর কথা বল্লেই সেদিন ২৫/৪/২৩ তারিখের সকাল ৯.৩০ মিনিটে আমার স্বামীকে ঘরে ঢুকে কিশোর গ্যাং আরমান কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে দিবে বলিয়া হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এবং পুনরায় দুপুর ১.৪৫ মিনিটে আমার স্বামীকে বাসায় খুজতে এসে তাকে না পেয়ে আমাকে চর-থাপ্পর কিল-ঘুষি লাথি মারতে থাকে এবং বলতে থাকে তোরা নাকি থানা পুলিশে মামলা দিতে চাস জীবনের মতো মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে তোদের সবাইকে। উক্ত ঘটনার সততা জানতে হুমকির শিকার সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী আলী আকবর হোসেন কে জিজ্ঞসা করলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে,
সেদিনই ২৫/৪/২৩ তারিখ রাত ৮.০০ টায় ফরিদপুর জেলা কোতোয়ালী থানায় আগে-পরের ঘটেচলা ঘটনার লিখিত অভিযোগ করি। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানা পুলিশের তদন্ত দুই অফিসার এএসআই আনোয়ার হোসেন ও শামীম সাহেব পরা পর ৪/৫ দিন আমার পরিবারের সকলকে কোতোয়ালী থানায় ডেকে নিয়ে উক্ত ঘটনার অভিযোগ এর আপোষ মিমাংসা করার জোর চেষ্টা চালান।
কিন্তু আমরা অসহায় পরিবারের সবাই একাধিকবার কিশোর গ্যাংয়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে ফরিদপুর জেলা কোতোয়ালী থানা পুলিশে সঠিক বিচার পেতে কোন আপোষ মিমাংসা না করে সঠিক বিচার পেতে পারি এমটাই আমরা বাংর বার আশা করি। পরে তদন্ত অফিসার শামীম সাহেব আমাদের অভিযোগ এর পরিবর্তে একটা এজাহার ভুক্ত দরখাস্ত আবেদন করতে নির্দেশ দেন। আমরা তার নির্দেশে গত ০১/০৫/২৩ তারিখে এজাহারে আবেদন করি কিন্তু এখনও পর্যন্ত এজাহার ভুক্ত করা হয়নি। অথচ বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমার পরিবারের মানুষ গুলোর উপর জীবন নাশকতার হুমকি আসছে প্রতিনিয়ত। আজ ০৫/০৫/২৩ তারিখে সকালে তদন্ত অফিসার শামীম সাহেব এর ফোন পাই এবং কোতোয়ালী থানায় গেলে তিনি আজ আনুমানিক বিকাল ৫.৫০ মিনিটে পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেন যে আপনার এজাহারের আবেদন কোতোয়ালী থানার ওসি আঃ জলিল সাহেব এর নির্দেশে কোর্টে একটা জিডি পাঠানো হবে মাত্র এবং রবিবারে আপনি আদালতে নিজের চেষ্টায় মামলা তুলে দিন এছাড়া আমাদের আর কিছুই করার সুযোগ নেই।
এত টুকু পর্যন্তই আপনার পরিবারের জন্য উপকার করতে পারি আমি এর বেশী আমার পক্ষে সম্ভবও নয়। এমন কথা শুনে আমি তাকে সালাম দিয়ে কোতোয়ালী থানা থেকে

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রধান উপদেষ্টা

মো: মোশারফ হোসেন
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd