1. nazmulrj40@gmail.com : md nazmul : md nazmul
  2. mizansatkhirapress@gmail.com : Satkhira Barta : Satkhira Barta
  3. tasahmed7@gmail.com : satkhira barta : satkhira barta
  4. shohaghassan0912@gamil.com : মোহনা নিউজ : মোহনা নিউজ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে প্রথম এক ব্যক্তির ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু হয়েছে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১
  • ২২২ Time View

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে বাংলাদেশে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিন দিন আগে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তি মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে এ বিষয়ে বারডেম হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন দিন আগে ৬৫ বছর বয়সী এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিসে আক্রান্ত ছিলেন, কিডনির সমস্যাও ছিল তার। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসার সময় বোঝা যায়নি যে তিনি মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর এটা জানা গেছে।
এর আগে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে গত ৮ মে ৪৫ বছর বয়সী এক রোগীর এবং পরে গত ২৩ মে ৬০ বছর বয়সী আরেক রোগীর দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে গত সোমবার (২৪ মে) বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের ল্যাবে দুইজনের শরীরে মিউকোরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। বারডেমের ল্যাবরেটরিতে করোনা রোগীর শরীরের এবারই প্রথম রোগটি শনাক্ত হয়।
ডা. লাভলি বাড়ৈ জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।
এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। তবে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরাও করণীয় নির্ধারণ করছেন। শিগগিরই রোগটির চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা গাইডলাইন দেব।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছত্রাক–জাতীয় এক রোগ, যা প্রধানত কোভিড রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। মাত্রা ছাড়া স্টেরয়েড নিলে, বেশি দিন হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলে অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। শাকসবজি, মাটি, ফল, একই মাস্ক প্রতিদিন পরা থেকে এই রোগ ছড়ায় বলে সতর্ক করা হয়েছে।
উপসর্গ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, নাক ও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, রক্তবমি ইত্যাদি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রধান উপদেষ্টা

মো: মোশারফ হোসেন
প্রযুক্তি সহায়তায়: csoftbd