রক্ষক যদি হয় ভক্ষক তবে শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়।।

মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

সন্তানের জন্য পৃথিবীর শেষ আশ্রয়, ভরসা ও ভালবাসার স্থান মা হলেও সেই মায়ের হাতেই খুন হতে হল শিশু মরিয়মকে (৮)। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামভল্লব গ্রামে। (০৫ ফেব্রুয়ারী) সোমবার রাতের এ ঘটনায় বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মরিয়মের মা রিনা বেগমকে। আর ঘটনার দিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে চাচা সেন্টু মৃধাকে। মরিয়ম ওই ইউনিয়নের রামভল্লব গ্রামের আবুল মৃধার কন্যা এবং অগ্রনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় শোকে হতবিহ্বল এলাকাবাসী। জানাচ্ছে নিন্দা ও ধিক্কার।

মরিয়মের বাবা-মা জানায়, মোবাইলে কার্টুন দেখতে সোমাবার সন্ধ্যায় একই বাড়িতে ফুপাতো বোনের বাসায় যায় মরিয়ম । ফিরেও আসে বাড়ীর উদ্দেশ্যে। কিন্তু সন্ধা হলেও মরিয়মকে দেখতে না পেয়ে নাটকীয় কায়দায় খুজঁতে বের হয় মা রিনা বেগম। বিষয়টি জানাজানি হলে স্বজনরা সবাই খুজঁতে থাকে। অনেক খোজাখুজির পর রাত সাড়ে আটটায় বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত ভিটায় গিয়ে মরিয়মের রক্তাক্ত মৃত্যুদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন দশমিনা থানায় খবর দিলে রাতে থানা পুলিশ এসে মরিয়মের মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে বিরোধী পক্ষকে ফাঁসাতে ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে মরিয়মের হাত বেধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে বেধে ফেলে মা রিনা বেগম। এরপর চাচা সেন্টু মৃধা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মরিয়মের হত্যা নিশ্চিত করে।

তবে মরিয়মের বাবা আবুল মৃধা ও মা রিনা বেগম দাবী করেন, দুই বছর যাবৎ জমিজমা নিয়ে ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এই শত্রুতার জের ধরে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম
বলেন, শিশু মরিয়ম হত্যায় জড়িত থাকার কারনে তার চাচা ও মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরিয়মকে হত্যার স্বীকারক্তি পেয়ে তাদের গ্রেফতা করা। তবে
হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পরিবার থেকে কেউ বাদী না হলে পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।