শ্যামনগর এর পদ্মপকুর ইউনিয়নের ছোট চন্ডিপুর নামে’এক দুর্ভাগা জানপদের আর্তনাদ”

শ্যামনগর এর পদ্মপকুর ইউনিয়নের ছোট চন্ডিপুর নামে’এক দুর্ভাগা জানপদের আর্তনাদ”

রাকিবুল ইসলাম রাকিব,

শ্যামনগর এর পদ্মপকুর ইউনিয়নের ছোট চন্ডিপুর নামে গ্রামের বেহাল দশা।
‘জনপদ প্লাবিত অথচ ঘের মালিকরা ভাটা সরাতে ভুলে যাবে, ফলাফল মাস খানিক জলাবদ্ধতায় ভুগবে জনগণ! এখনো অব্দি ভাটাত সরাইনি বরং খবর আসে জোয়ার তোলারও (সবাই না)।’
এমনিতেই একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা যুগযুগ ধরে, বহুবার ওয়াদা পেয়েও দৃশ্যত কোন উন্নয়ন কপালে জুটেনি, তারউপর ঘেরমালিকদের দৌরাত্ম্য,
ফলাফলঃ ভোগান্তির উপর ভোগান্তি।

গৃহবন্দি গ্রামবাসীর হাহাকার কি উপরমহলের কর্ণগোচর হয়না, হবে না কখনো? একসময় ঠিকই পানি নেমে যাবে। এ অঞ্চলের সবার চলাচলের পথ অক্ষত রবে, শুধু বরাবরের মতই ছোট চন্ডিপুরবাসীরা হাবোড়(হাটুজল কাদামাটির আঞ্চলিক পরিভাষা) ঠেলে মরবে।
স্কুল-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কিনবা দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারঘাট সকল কাজে প্রতিনিয়ত পাতাখালি বাজারে না গেলেই নয়, অথচ যোগাযোগের একমাত্র এই রাস্তাটি যুগযুগ ধরে অবহেলায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।

এই গ্রামে বায়তুন বাইতুন নূর জামে মসজিদ নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে বছরকয়েক পূর্বে তবে দূঃখের সাথে বলতে হয়, একটু প্লাবিত হলেই জলাবদ্ধতার ফলে মসজিদেও যেতে পারেনা সাধারণ মুসল্লিরা।

আধুনিকতার এই যুগে এটি কখনোই কাম্য নয়, সুতরাং কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয় অনুরোধ করবঃ অঙ্গীকার বাস্তবতায়নে যতদূর সম্ভব আন্তরিকতার প্রদর্শন পূর্বক যতদ্রুত সম্ভব অত্র সমস্যাটি সমাধানে আন্তরিক হওয়ার জন্য।

বিঃদ্রঃ গতবার প্লাবিত হওয়ার পর এভাবে যুবকরা কোনমতে চলাচল উপযোগী করেছিল এখন সব-ই তলিয়ে রয়েছে।