অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রয়ের নামে প্রতারণা-আটক দুইজন

নিউজ ডেস্কঃ ‘‘সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ কর্তৃক একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র আটক‘‘

সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম প্রচারক চক্রকে আটক করে

প্রেস রিলিজ
একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে আল আমিন নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে অনলাইনে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার ০১৮৩১৮৩৭৭৬৯ দিয়ে পোস্ট করা হয় যে,

• সাতক্ষীরা ভোমরা কস্টমস হাউজ থেকে সম্পূর্ন নতুন মোটর সাইকেল সীমিত দামে কাস্টমস হাউজে সেল রিসিট দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এই মোটর সাইকেলগুলো বেআইনী ভাবে চোরাইপথে ঢোকার সময় কাস্টমস পুলিশের হাতে আটক হয়।

• আপনি চাইলে আমাদের ঠিকানা (সাতক্ষীরা ভোমরা বর্ডার কাস্টমস হাউজ) এখানে এসে নিয়ে যেতে পারবেন।

• আপনার মালিকানা তথ্য কাস্টমস হাউজে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য এই সকল নিয়মাবলী মানতে হবেঃ-
এন আইডি এর কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ থেকে রোড পারমিট ফি ও কাস্টমস ট্যাক্স ফি জমা দিতে হবে ।

পালসার ৫০০০০/- টাকা, হিরো হাঙ্ক ৪৫০০০/- টাকা, জিক্সার- ৬০০০০/- টাকা, জিক্সার ৬৫০০০/- টাকায় বিক্রয়ের কথা বলে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে সহজ সরল মানুষের কাছে কম দামে মোটর সাইকেল বিক্রয়ের কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় সেনা সদস্য মোঃ আব্দুল জহির গাজী, পিতা-মোঃ জহুর আলী গাজী, সাং-বংশীপুর, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরা উক্ত প্রতারকের ফাদে পড়ে প্রতারক চক্রের নগদ নম্বরে ৯১০০০/- টাকা পাঠায়। পরবর্তীতে কাঙ্খিত মোটর সাইকেল এবং প্রেরিত টাকা ফেরত না পেয়ে জেলা পুলিশকে অবহিত করলে সুযোগ্য পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), সাতক্ষীরা এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা, সাতক্ষীরার অফিসার ইনচার্জ এর তত্বাবধানে একটি চৌকস টিম এর সহায়তায় প্রতারক চক্রের পরিচিতি উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়। ইতিমধ্যে ভিকটিম আব্দুল গাজীর আত্মীয় স্বজন আব্দুস তরফদার শ্যামনগর থানায় হাজির হয়ে অজ্ঞাতনামা প্রতারক চক্রের নামে বাদী হয়ে শ্যামনগর থানার মামলা নং ৩৬, তারিখ- ২৫/০৮/২০২১ ইং ধারা-১৭০ পেনাল কোড তৎসহ ২৩/২৪/২৬/৩০/৩৫ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দায়ের করিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), সাতক্ষীরা এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য ১। মোঃ রকিবুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ আসাদ মোল্যা, সাং-২০৭ টুটপাড়া,, তালতলা হাসপাতাল মেইন রোড, থানা-খুলনা সদর, জেলা- কেএমপি খুলনা ২। মোঃ সাথিল বিন আব্দুল্লাহ ৥ তুরিপ(২০) পিতা-মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ৥সেন্টু সাং-১২৮ টুটপাড়া মেইন রোড, থানা-খুলনা সদর, জেলা- কেএমপি খুলনা, ৩। সুমাইয়া আক্তার মীম (২২), পিতা – জামিল হোসেন, সাং-কালিবাড়ী, থানা-মোড়লগঞ্জ, জেলা-বাগেরহাট এ/পি সাং-মোঃ খালিদ শেখ, পিতা-লৎফর রহমান,সাং-রিয়া বাজার থানা-লবনচরা জেলা-কেএমপি খুলনাদেরকে গ্রেফতার করে দায়েরকৃত মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।