কলারোয়ায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে রসালো ফল তরমুজ

কলারোয়ায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে রসালো ফল তরমুজ
মোঃ আলীহোসেন কলারোয়া থেকে।।
বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের মধ্যে উপকারী একটি ফল হল তরমুজ। যা মানবদহের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। রসালো তরমুজ খেতে ভালোবাসে না এমন লোক ৬৪টি জেলায় কম সংখ্যকই রয়েছে। গরমের দিনে মোটামুটি প্রায় ৮০%লোক তরমুজ খেতে ভালোবাসেন। তবে বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছরের রমজানের মাসে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে সারাদেশ লকডাউন থাকায় তরমুজের মুল্য যেন লাগামহীন। যা কর্মহীন ক্রেতাদের জন্য তরমুজ কেনা খুবই কষ্টসাধ্য। তাই অস্থির যেন তরমুজের বাজার, বিপাকে পড়েছে ক্রেতারা।

প্রত্যক্ষভাবে দেখা গেছে, সারাদেশের মত সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলাসহ ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ধরে। বিগত বছরের দিনগুলোতে যেখানে প্রতি পি‌স তরমুজ বিক্রি হতো ৬০থেকে ৮০ টাকায়। বর্তমান বাজারের সেই তরমুজ ওজন করে প্রতিটি পিস বিক্রয় করা হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে। যা বাজার মুল্য ২৫০টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। তাই তরমুজ বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট করে তরমুজ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে না এই তরমুজ। লকডাউনের দোহাই দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন সাধারন মানুষ।

উপজেলার খোরদো বাজারে তরমুজ কিনতে আসা শফিকূল নামে এক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৮০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনেছেন, অথচ বিগত বছরে এইরকম তরমুজ তিনি ১৫০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

কলারোয়া বাজারের তরমুজ কিনতে আসা গ্রামে ডাক্তার রানা হোসেন বলেন, এই তরমুজ বিগত বছরে ৬০/৭০ টাকা দিয়ে কিনে খেয়েছি। বর্তমান বাজারে এই তরমুজ ২৫০ দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট করে যদি তরমুজের দাম এত বৃদ্ধি হয় তাহলে সাধারন মানুষ কিভাবে তরমুজ কিনে খাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা অনেক দাম দিয়ে তরমুজ কিনেছি। সারাদেশ লকডাউন তরমুজ আসে না। তাছাড়া তরমুজ কেজি ধরে বিক্রি করলেও আমাদের লোকসান হয়।