কলারোয়ায় লক্ষ টাকার অসুস্থ গরুর মৃত্যু ডাক্তারের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা

কলারোয়ায় লক্ষ টাকার অসুস্থ গরুর মৃত্যু ডাক্তারের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ার কেরালকাতা ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের মৃত শাগের গায়েনের পুত্র আব্দুল গাফফার একটি লক্ষাধিক টাকা গরু প্রস্তুত করেন কোরবানির হাটে তোলার জন্য।

আব্দুল গফফার বিক্রয়ের জন্য ঢাকায় নিয়ে যান গরুটি। বিক্রি করতে না পারায় গরুটি নিয়ে ফিরে আসেন। যাতায়াতের সময় গরুর অসুস্থ হয়ে পড়লে আব্দুল গফফার কলারোয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ না করে একজন এআই কর্মীর সাথে যোগাযোগ করেন । আব্দুল গফফার দাবি করেন তার লক্ষাধিক টাকার গরু ঢাকা থেকে ফেরত আনার পর থেকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন একজন এআই কর্মী ও একজন কলারোয়ার নাম না বলতে পারা ডাক্তার। প্রেসক্রিপশনে দেখা গিয়েছে ২২শে (জুলাই ) তারিখ করা হয়েছিল। তারপরে তিনি আর কোন প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেননি। খামারি আরো দাবি করেন ভুল চিকিৎসায় তার গরুর মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে কলারোয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের এআই কর্মী মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, গরুটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিক্রয়ের জন্য সেখান থেকে আমার কাছে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন যে গরুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে কি ওষুধ দিব?? গরুর হাটে চিকিৎসাকর্মী আছেন বলে আমি তাদের অবগতি করি। যে কোনো কারণবশত গরুটি বিক্রি না হলে গরুটি বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসে। ঈদের দিন ২১ জুলায় তারা আমাকে বলেন গরুটি অসুস্থ। ঢাকা থেকে ফেরত আসা গরুর চিকিৎসা করব না জানালে, তারা আমাকে একটি বড় ডাক্তার নিয়ে যেতে বলেন। কলারোয়া প্রাণিসম্পদ অফিসার ভেটেনারি সার্জন সাইফুল ইসলামকে জানালে তিনি ছুটিতে ছিলেন বলে আসতে পারেননি পরবর্তীতে কলারোয়া প্রাণিসম্পদ অফিসার অমল কুমার সরকারকে অবগত করলে তিনি আসতে পারবেন না বলে জানালে আমি বাধ্য হয়ে জোর করে কলারোয়া প্রাণিসম্পদ অফিসারের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার (প্রাণী স্বাস্থ্য) মাজিবুর রহমানকে নিয়ে ওই বাড়িতে যাই। মাজিবুর ভাই চিকিৎসা দিতে পারবেন না বলে জানালেন খামারের মালিক আব্দুল গাফফার চিকিৎসায় কোন সমস্যা হলে দায়ভার চিকিৎসকের উপ যাবে না এমন স্বীকারোক্তিতে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে বলেন এবং মালিকের অনুরোধে চিকিৎসা দেন মাজবুর ভাই ২২ জুলাই চিকিৎসা দেওয়ার পরে গরু সুস্থ হয়ে যায়। হঠাৎ করে গরুটি আবার খোড়া রোগে আক্রান্ত হয়। আমি কিংবা মাজবুর ভাই খোড়া রোগের বিষয়ে কোনো চিকিৎসা দেইনি। পরবর্তীতে তিনি আমাকে ফোন দিয়ে জানান কুষ্টিয়ার কোন একজন বড় ভেটেনারি ডাক্তার তাদের কিছু ওষুধ লিখে দিতে চাচ্ছে তারা লিখতে পারেন না বলে আমাকে ডাকেন। সেই ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলি উনি যে সকল ওষুধ লিখে দিতে বলেন আমি সেগুলোই লিখে দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি তাদের গরুটি মারা গিয়েছে। আমি এই গরুটির কোন রকম চিকিৎসা দেয়নি এবং মজিবুর রহমান ভাই যে রোগের চিকিৎসা দিয়েছিল সেটি সুস্থ হয়ে উঠেছিল।

এ বিষয়ে কলারোয়া প্রাণিসম্পদ অফিসারের উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার (প্রাণী স্বাস্থ্য) মাজিবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি ২২ জুলাই কেরালকাতা ইউনিয়নের এআই কর্মী ইব্রাহিম হোসেন এর ফোন কলে জানতে পারি ভেটেনারি সার্জন স্যার ঈদের ছুটিতে থাকায় এবং ইয়োলো স্যার আসতে না পারায় গরু নিয়ে বিপদে রয়েছেন খামারি। আমি খামারির বাড়িতে যাই এবং গরুটি দেখি ঢাকা ফেরত আমি চিকিৎসা না দিয়ে চলে আসতে চাইলে খামারি নিজে আমাকে অনুরোধ করেন চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। দায়ভার আমার উপর আসবে না এমন অনুরোধের ভিত্তিতে আমি গরুর চিকিৎসা দেয়। এবং গরুটি সুস্থ হয়ে ওঠে আমি তাদেরকে গরুটি বিক্রয়ের জন্য পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ ছিল না এই গরুর মালিকের। ৬ আগষ্ট সকালে জানতে পারি গরুটি মারা গিয়েছে এবং আমার উপর যে অভিযোগ করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কিছু সংখ্যক কুচক্রী মহলের কারসাজি।

এ বিষয়ে জেলা কর্মকর্তা সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, জানতে পারলাম প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ায় গরু সুস্থ হয়েছিল। কিন্তু খামারি অফিসে আর যোগাযোগ করেনি।