কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় কৃষকের লাশ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হাত পা বাঁধা অবস্থায় কৃষকের লাশ উদ্ধার

সুমাইয়া আক্তার শিখা স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় হাত পা বাঁধা অবস্থায় কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামে নিহতের বাড়ির অদুরে আবাদি জমি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের মৃত হায়াত আলীর ছেলে নজিরউদ্দিন (৫৯)।

এলাকাবাসী জানায়,স্থানীয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত গোলাম সরোয়ার, দুলাল ও জাহিদ গ্রুপের সাথে বাবলু, মনোয়ার ও আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ২৫ জানুয়ারি বাবলু গ্রুপের সবুর নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ছেলে থানায় সরোয়ার গ্রুপের সমর্থকদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নিয়েও দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছিল। এরমধ্যে আজ শনিবার সকাল ৬ টার দিকে সরোয়ার গ্রুপের সমর্থিত নজির উদ্দিনের মরদেহ নিজ বাড়ি থেকে সাড়ে তিনশ গজ পশ্চিমে রজব মোল্লার আবাদি জমিতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ খবর দেওয়া হয়।

নিহতের ছেলে মিরাজ জানান, তার বাবা প্রায় দিনই পুকুর পাড়ের বাঁশের চরাটের উপর রাতে শুয়ে থাকত। গতকাল রাত ১২ টার দিকেও সেখানে ছিলো। সকাল ৬ টার দিকে তার চাচী শিউলী খাতুন জানায় আমার বাবা বাড়ির অদুরে রজব মোল্লার জমিতে ঘুমাচ্ছে। আমি দ্রুত মাঠে গিয়ে দেখি বাবার হাত ও পা বাঁধা। উপুড় হয়ে পড়ে আছে। চোখে মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন। তিনি আরো বলেন, আমি একজন ভ্যানচালক। আমাকে সবুর হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরেই আমার প্রতিপক্ষ বাবলু , রুবেল, মনোয়ার ও মতিয়াররা আমার বাবাকে হত্যা করতে পারে।

কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান বলেন, ফাঁকা মাঠ থেকে নজির উদ্দিন নামের একজনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।