গলাচিপায় ফসলি জমিতে মাটি কাটতে বাধা দেয়ায় দুরবৃত্তের হামলায় আহত এক।

এম এইচ শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপার ১১নং চরকাজল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ছোটশিবা বালারচর গ্রামে নিজ ফসলি জমিতে মাটি কাটার কাজে বাধা দেয়ায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক বেলা ১২ থেকে ১.৩০মিঃ সময় দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছে আলামিন বিশ্বাস ও তার পরিবার।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কাবিকার আওতায় ৪০ দিনের কর্মসূচির বেরি বাধের কাজ সরকারি রেজুলেশন অনুযায়ী লেবার দিয়ে করার কথা থাকলেও, চরকাজল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান মোল্লা, সেই কাজ লেবার দিয়ে না করিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য,নিজ পকেট ভারি করার জন্য স্থানীয় কিছু ভূমি দস্যু সাথে নিয়ে, হতদরিদ্র লেবারের রিজিকে লাথি মেরে, অন্যের ফসলী জমি নষ্ট করিয়ে, সাধারণ জনগণের উপর জোড় জুলুম চালিয়ে, বেকু দিয়ে মাটি কাটতে এলে বাধার সম্মুখীন হয়ে পরেন হাবিবুর রহমান মোল্লা ও ভেকুর ড্রাইভার। এতে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে তার পালিত গুন্ডাবাহিনী বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মাসুমকে দিয়ে জমির মালিক আলামিন বিশ্বাসের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। আলামিন বিশ্বাসের ডাক চিক্কারে তার স্ত্রী ঝুমা বেগম ছুটে আসলে তাকেও বেধর মারধর করে এবং ঝুমা বেগমের গলায় থাকা বারওয়ানা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তার ছেলে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী কলেজ পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছুটে এলে তাকেও গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঐ শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হয়।

এবিষয় প্রফেসার মোঃ মামুন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার কিছুক্ষন পর ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাইর সাথে চেয়ারম্যান কথা কাটাকাটি চলছে।তখনই আমি চেয়ারম্যানকে অনেক অনুরোধ করেছি,তিনি আমার কোন কথা শোনেনি।আমার সামনে আমার ছোট ভাই আলামিন বিশ্বাস,তার স্ত্রী ও ছেলেকেসহ বেধড়ক মারধর করেছে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার,চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মোল্লা ও মাসুমসহ তার অনন্য সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার চেয়ে, এমপি, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ও অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মোল্লা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
মাটি কাটতে বাধা দেয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়েছে এখানে আমার কোন হাত নেই আমার নামে অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নেককারজনক ঘটনা।চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে এটি অত্যন্ত লজ্জা জনক ঘটনা।কাবীটা এর কাজ লেবার দিয়ে না করিয়ে বেকু দিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করা এটি একটি নেককারজনক কাজ বলে আমি মনে করি।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম খান বলেন,ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।