গাজীপুরে জোরপূর্বক জমি দখল বাধা দেওয়ায় কেয়ারটেকারকে হত্যার চেষ্টা

গাজীপুর সংবাদদাতা : গাজীপুর সদর থানাধীন ভারারুল চৌরাস্তা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে জমি দখলকে কেন্দ্র করে মো: মানিক মিয়া নামের এক কেয়ারটেকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মানিক মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মানিক মিয়ার বাবা লিয়াকত আলী বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো: মানিক মিয়া (৩৫), জিএমপি সদর থানাধীন ভারারুল মৌজায় নাজিম উদ্দিন ও তাহার স্ত্রী তানিয়া বেগমদ্বয় ৬৩.২৫ শতাংশ জমির কেয়ারটেকার হিসাবে দেখাশুনা করে আসছে। বিবাদী ১। কামাল হোসেন ওরফে আদম আলী (৪৫), পিতা-ইদ্রিস আলী, ২। মো: মনির হোসেন (৪০), পিতা-ইদ্রিস আলী, ৩। সৈকত হাসান (২৩), পিত-কামাল হোসেন ওরফে আদম আলী, ৪। মো: শান্ত (২৫), পিতা-অজ্ঞাত, ৫। মো: জাহিদ (২৪), পিতা-অজ্ঞাত সর্ব সাং-ভারারুল চৌরাস্তা, ওয়ার্ড নং-৩১, থানা-সদর, গাজীপুর মহানগর, গাজীপুরগণ উল্লিখিত জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। এতে মানিক মিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে মারপিট, খুন-জখম করাসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় সদর থানাধীন ভারারুল সাকিনস্থ ভারারুল চৌরাস্তা মানিক মিয়ার “মাহি ষ্টোর” নামক দোকানে বসেছিল। এ সময় উক্ত বিবাদীগণ ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৫/৭জন বে-আইনিভাবে মানিক মিয়ার দোকানে ঢুকে দা, লাঠি, লোহার রড, চাপাতি, ছামুরাই, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদি নিয়া হামলা করে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
মানিক মিয়ার বাবা লিয়াক আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ আমার ছেলেকে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করিয়া ১নং বিবাদী কামাল হোসেন ওরফে আদম আলীর হুকুমে ৩নং বিবাদী সৈকত হাসান তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়া আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার উপর কোপ মারে। আমার ছেলে মাথা সরাইয়া নেওয়ার চেষ্টা করিলে উক্ত কোপ আমার ছেলের গলার বাম পার্শ্বে লাগিয়া মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। ১নং বিবাদী কামাল হোসেন ওরফে আদম আলী তাহার হাতে থাকা ছামুরাই দিয়া আমার ছেলেকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে ডান পায়ের হাটুর নিচে উপুর্যপুরী কোপ মারিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছেলে মাটিতে পড়িয়া গেলে বিবাদী ২নং বিবাদী মো: মনির হোসেন তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার ছেলের বাম পায়ের হাটুর নিচের অংশে আঘাত করে নীলাফুলা জখম করে। এ সময় আমার বড় ছেলের ডাক চিৎকারে আমার ছোট ছেলে মেহেদী হাসান হীরা (১৬), আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীগণ আমার ছোট ছেলেকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা জখম করে। এ সময় আমার বড় ছেলে মানিক এর নিকট থাকা একটি এন্ডুয়েট সামসাং মোবাইল যাহার মূল্য আনুমানিক ২০ হাজার টাকা নিয়া নেয়। ৫নং বিবাদী মো: জাহিদ আমার ছেলের দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ ৬০হাজার ৫৫০টাকা নিয়ে যায়। আমার ছেলেদ্বয়ের ডাক চিৎকারে আমি আশপাশের লোকজন আসতে থাকিলে উক্ত বিবাদীগণ আমাদেরকে খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়। আমি লোকজনের সহায়তায় আমার বড় ছেলে মো: মানিক মিয়াকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছোট ছেলে মেহেদী হাসান হীরা উক্ত হাসপাতাল হইতে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। আমি স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। অবিলম্বে এই হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছি।