চরকাজলে কচুররিপানার গ্রাসে ৫ মহিষের মৃত্যু।

এম এইচ শান্ত স্টাফ রিপোর্টার।

পটুয়াখালীতে কচুরিপানার গ্রাসে ৫ মহিষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত (০৩-এপ্রিল-২০২৩ ইং) তারিখ আনুমানিক ৫ টার সময় গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবার চরকপাল বেড়া ব্রিজ সংলগ্ন বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে ১১০ টি মহিষ কপাল ভেরা খালে পানি পান করতে গেলে পাশে থাকা ফসলের জমিতে ২০-২৫ মহিষ চলে যায়। ফসলের মালিক খাদিজা বেগম (৩৫), এর নির্দেশে একই গ্রামের হানিফ মাতব্বরের ছেলে মালেক মাতব্বর মহিষগুলোকে তাড়িয়ে দিলে খালে নেমে যায়।

এঘটনার ২০-৩০ মিনিট পরে রাখাল নৌকা নিয়ে মহিষ খোঁজাখোজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে কচুরিপানার মধ্যে ৫টি মরা মহিষের লাশ দেখতে পায় বলে জানান।

তবে এবিষয়ে এলাকাবাসির মতামত মৃত মহিষ গুলো দেখে মনে হয় আরো “দু” এক দিন আগে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারনা করা হয় ।

এ ব্যাপারে ফসলের মালিক খাদিজা বেগম ও মালেক মাতববরের উপর মিথ্যা অভিযোগ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে মহিষের মালিক পক্ষের এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসি আরও বলেন, ১১০ টি মহিষ দেখাশোনার জন্য মাত্র দুইজন রাখাল রয়েছে। যার কারনে পরিচর্যার ত্রুটির কারনে মহিষগুলোর মৃত্যু কখন হয়েছে হয়তো তারা নিজেরাই জানেনা। নিজেদের দোষ এড়াতে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। কারন ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে মহিষের মৃত্যু হলে তার দেহ ফুলে ফেপে উঠবে না। মহিষের মৃতদেহ দেখে বোজাই যায় মৃত্যু কমপক্ষে ২-৩ দিন আগে হয়েছে। ফসল খেতের মালিক খাদিজা ও মালেক মাতব্বর এর উপর অভিযোগ মিথ্যে বানোয়াট। এছাড়াও মহিষ চরিয়ে সব সময় এলাকাবাসীর ফসলের ক্ষতি করে তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাখাল ও মহিষের মালিক রহিম বলেন,পানি ও কচুরিপানার দুদিক থেকে চাপ থাকার কারনে মহিষ গুলোর মৃত্যু হয়েছে । তবে ঘটনার দিন যে মহিষ মারা গেছে তা বলতে পারিনা এবং এই ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না বলে জানান।

এ ব্যাপারে চরকাজল ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য, তাসলিমা বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহিষের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাধারন মানুষকে ফাসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে মহিষ মালিক পক্ষরা। তবে এলাকাবাসীর ধারনা ঘটনার দিন নয় আরও দুই একদিন আগে মহিষগুলোর মৃত্যু হয়েছে। তবে দুই একদিন আগে মারা গিয়েছে বলে আমাদের ধারণা। এই মহিষ মারা যাওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে রাখালের উদাসীনতা ও পানির স্রোত এবং কচুরিপানার চাপের কারণে হয়তো মহিষগুলো মারা গিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে যদি কেউ দোষী থাকে তাদের আইনের আওতায় এনে মুখোশ উম্মোচন করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এবিষয় গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। যদি কোন পক্ষ আইনগত সহযোগিতা পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।