তুচ্ছ ঘটনায় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০

 

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :স্বাধীন আহামেদ

 

তুচ্ছ ঘটনায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামে দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কমপক্ষে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিন দফায় এ সংঘর্ষ চলে। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তুজারপুর গ্রামে বড় দুটি দল রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব ওমর মাতুব্বর ও অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব ভুইয়ার ভাই ওহাব ভুইয়া। এদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওমর মাতুব্বর গ্রুপের সাইম মোল্লার সঙ্গে ওহাব ভুইয়া গ্রুপের এনায়েত মাতুব্বরের ছেলের হাতাহাতি হয়। এই তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়।উভয় গ্রুপ সঙ্গবদ্ধ হয়ে ঢাল, শরকি, টেটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারারাত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময় দুইটি দোকানসহ প্রায় অর্ধশত বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গিয়াস মাতুব্বরের বাড়ি, নজরুল মাতুব্বরের বাড়ি, শওকত মেম্বারের বাড়ি, মজিবর মাতুব্বরের বাড়ি, জাফর সর্দার, আবু সর্দার, ওহাব মোল্লা, কিবরিয়া মোল্লা, সুবাহান মোল্লা, শাহা মোল্লা, সরোয়ার শেখের বাড়ি, কুদ্দুস মাতুব্বরের দোকান, আবুল মাতুব্বরের দোকান, ইলিয়াস সরদার বাড়ি, রনি মীর, শাজাহান সরদার, সালাম সরদার, সলেমান সরদার, লাইলি বেগম, হাফিজুল সরদার, দুলু শেখসহ আরো অনেকের বাড়ি।
তুচ্ছ ঘটনায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর গ্রামে দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কমপক্ষে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিন দফায় এ সংঘর্ষ চলে। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তুজারপুর গ্রামে বড় দুটি দল রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব ওমর মাতুব্বর ও অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব ভুইয়ার ভাই ওহাব ভুইয়া। এদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ চলে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওমর মাতুব্বর গ্রুপের সাইম মোল্লার সঙ্গে ওহাব ভুইয়া গ্রুপের এনায়েত মাতুব্বরের ছেলের হাতাহাতি হয়। এই তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়।
উভয় গ্রুপ সঙ্গবদ্ধ হয়ে ঢাল, শরকি, টেটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু করে সারারাত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময় দুইটি দোকানসহ প্রায় অর্ধশত বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গিয়াস মাতুব্বরের বাড়ি, নজরুল মাতুব্বরের বাড়ি, শওকত মেম্বারের বাড়ি, মজিবর মাতুব্বরের বাড়ি, জাফর সর্দার, আবু সর্দার, ওহাব মোল্লা, কিবরিয়া মোল্লা, সুবাহান মোল্লা, শাহা মোল্লা, সরোয়ার শেখের বাড়ি, কুদ্দুস মাতুব্বরের দোকান, আবুল মাতুব্বরের দোকান, ইলিয়াস সরদার বাড়ি, রনি মীর, শাজাহান সরদার, সালাম সরদার, সলেমান সরদার, লাইলি বেগম, হাফিজুল সরদার, দুলু শেখসহ আরো অনেকের বাড়ি।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল ) মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি, সাউন্ড গ্রেনেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সারারাত ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। গ্রামের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় দলের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ২৬টি ঢাল, শত শত কাতরা, কালিসহ বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের চার-পাঁচ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ১১জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।