দিনাজপুর এক অসহায় নারী তার সম্পত্তি দীর্ঘদিন ভোগন্তির পর ফেরত পেয়েও আবারও হয়রানীর শিকার

মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি// ====================================

কতিপয় অসৎ স্বার্থান্বেষী ক্তুচক্রী ব্যক্তির রোসানলে অনেক মামলা মোকদ্দমার চড়াই উথরাই পেরিয়ে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ফেরত পেয়েও আবারও হতে হচ্ছে বিভিন্নভাবে হয়রানীর শিকার বলে অভিযোগ করেন নূর বানু নামে এক অসহায় নারী ও পরিবার বর্গ।
নুর বানুর দেয়া বক্তব্য এবং আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের রাজারামপুর ভাটপাড়া মৌজার ৯২ নং জেএল নাম্বারের ৪২৮, ৪২৯, ৪৩০, ৪৫৮ নং খতিয়ানের সিএস ৬৪৯ এবং বি.এস ৩৬৫ নং দাগের ১৩৭ শতক ডাঙ্গা জমি আদালতের আদেশ মোতাবেগ পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে নিজস্ব জায়গায় ইমারত গড়তে গেলে কতিপয় অসাধু ব্যক্তির প্ররোচনায় অত্র ইউনিয়নের কতিপয় ব্যক্তি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিকে ফুটবল খেলার মাঠ বলে দাবী করে ইমারতের কাজে বাধাঁ প্রদান করে আসছে।এছাড়াও ভুক্তভোগী নূর বানু আরো জানান যে
উক্ত সম্পত্তির ৬৪৯ নং দাগের ১৪ একর ১৫ শতক জমির মধ্যে ২ একর ১৩ শতক জমি এসএ ৯৬ নং খতিয়ানে হেমাঙ্গিনী দেবীর নামে রেকর্ড ভুক্ত ছিল। তার
কাছ থেকে মাহতাব, আলতাফ ও ফাতেমা নামে ৩ ব্যক্তি উক্ত জমিটি ক্রয় করেছিলেন। পরে ১৯৬৪ সালে এই ৩ জনের কাছ থেকে ২ ভাই তোরব উদ্দিন মিয়া ও মৃত বাদশা মিয়া উভয়ের পিতা মৃত রিয়াজ উদ্দিন মিয়া ২ শতক ১৩ একর জমি ক্রয় করে নেন। সেই সূত্রে বাদশা মিয়ার ওয়ারিশ নুর আক্তার বানুসহ তার অপর দুই বোন উক্ত জমির মালিকানাস্বত্ত প্রাপ্ত হয়। কিন্তু জায়গাটি দীর্ঘদিন খোলা ও ফাঁকা থাকার কারনে এবং মালিক পক্ষ দূরে থাকার সুবাদে বাংলাদেশ জরিপের সময় ওই জমিটিকে ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে সরকারি খাস খতিয়ানে সাময়িক রেকর্ড করা হয়।পরে তোরাব উদ্দিন মিয়া সরকারকে বিবাদী করে আদালতে একটি সিভিল মামলা করেন যাহার মামলা নং— ১১/০৫ অন্য। দীঘ’দিন মামলা চলার পর ২০১১ সালে যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১ ওই মামলায় বাদীদের পক্ষে রায় দেন। উক্ত রায়ের প্রেক্ষিতে সিএস ১০৪ নং খতিয়ানে ৬৪৯নং দাগের ১৪ দশমিক ১৫ একর জমির মধ্যে ২ দশমিক ১৩ একর জমির মালিক মৃত তোরাব উদ্দিন এবং মৃত বাদশা মিয়া ও তাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে নুর বানু, লায়লা চৌধুরীসহ অন্যান্য ওয়ারিশগন মালিকানা প্রাপ্ত হয়। উক্ত রায়ের আলোকে জমির মালিক সংক্রান্ত দলিল পত্র পর্যালোচনা করে দিনাজপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি)বাদীর পক্ষে খাজনা খারিজ বহাল করেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি গায়ের জোরে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ব্যক্তি মালিাকনা সম্পত্তিকে সরকারের সম্পদ বলে এবং ফুটবল খেলার মাঠ হিসেবে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। তথাকথিত রাজারামপুর এলাকায় মাঠ রক্ষা কমিটি নামের একটি অযৌক্তিক কমিটি গঠন করে মাঠ রক্ষার নামে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টায় নিয়োজিত থেকে নূরবানুসহ তার ওয়ারিশদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে অবলম্বন করছে অযৌক্তিক পন্থা।যা কখনোই যুক্তিসম্মত নয়।এরুপ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে কাজে বাধাঁ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে যথাযত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করে আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য ঊদ্ধতন কতৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী নূরবানূ ও তার ওয়ারিশগন।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *