দুর্গাপূজা শুরু, শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের প্রত্যাশা
মৃত্যুঞ্জয় রায় অপূর্ব: অশুভ শক্তির বিনাশ ও বিশ্ব মানবের দুর্গতি লাঘবে আবারও ধরায় আবির্ভূত হয়েছেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহাষষ্ঠীতে ঢাক-ঢোলের বাজনা, কাঁসা-শঙ্খের আওয়াজ ও ভক্তদের উলুধ্বনিতে মাতৃরূপী দেবীর আবাহন হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস হবে। শনিবার (০১ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পূজার আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেছে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষকে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
কলাগাছি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের পুরোহিত অরবিন্দু ব্যানার্জী বলেন, আজ ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। এবার দেবী মর্ত্যে আসছেন গজে (হাতিতে) চেপে। গজ বা হাতিতে চড়ে দেবীর আগমনের অর্থ হল শুভ। দেবী গজে চড়ে মর্ত্যে এলে সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন। হাতি হচ্ছে জ্ঞান এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। দুর্গার ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ এবং ষষ্ঠিবিহিত পূজা হয়েছে। সন্ধ্যায় হবে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস।
তিনি বলেন, বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্যলোক ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় গমন মানে মনোকামনা পূর্ণ হওয়া বোঝানো হয়। ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্য-শ্যামলা। তবে একই সঙ্গে অতি বর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও থাকে।
কলাগাছি সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি অনন্ত কুমার সরকার বলেন, আজ থেকে শুরু হলো দুর্গাপূজা। সারাদেশে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে। এটা যেন শেষ পর্যন্ত থাকে।
পুলিশ পরিদর্শক (অফিসার ইনচার্জ, তালা থানা) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খাঁন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনের জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও প্রতিটি মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করছেন। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেছেন। কোনো জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে নিকটস্থ পুলিশ ফাঁড়ি, থানা অথবা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
Leave a Reply