নিয়ামতপুরে অসহায় মহিলার বাড়ি দখল,লুটপাট

জাকির হোসেন
নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধি

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের দামপুরা রাজবংশীপাড়ার সেতারা বিবি (৫০) নামে এক মহিলা ৭১৩ নং বাড়িতে দিনে দুপুর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করে বাড়ি দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯/০১/২০২১ দুপুরে এই হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও দখলের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে না পারায়। সেতারা বিবি জেলা কোটে মামলা করেন। মামলা নং১৭/২১(নিয়াঃ)

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সেতারা বিবির স্বামীর এসলামের বাড়ি নং- ৭১৩,দলিল নং- ২৫৫৩,মৌজা- দামপুরা জে এল নং-১৮৮, আর এস খতিয়ান নং -৭২ দাগ নং১৮১০ এর উত্তর-পশ্চিম কোণে মসজিদ সংলগ্ন ৭ শতক জায়গার উপরে দীর্ঘ ১২ -১৩ বছর বসবাস করছিলো।কিন্তু তার স্বামী অসুস্থতার কারণে ঢাকায় থাকা অবস্থায় পূর্বশত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে একই গ্রামের কবির হোসেন টানুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), আলমগীর হোসেন (৩২), কবির হোসেন টানুর স্ত্রী জুমারার (৫০), নেতৃত্বে চৌরাপাড়া দিঘীপাড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০), জাহাঙ্গীর আলম ভোলা স্ত্রী দিলুফা বেগম (৩৬), আলমগীরের স্ত্রী ইতি বেগম(৩৩), রসুলপুর সর্দারপাড়ার মৃত লোকমান ছেলে একরামুল হক শাহী, সাইদুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (রয়েল) (২৫), বনগাঁপাড়ার মফিজুল ছেলে তফিজুল ইসলাম (রাজন)(২৬),রসুলপুর সর্দারপাড়ার একরামুল হকের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪) বশির(২২)সহ অঙ্তাতনামা২০/২৫জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়ি ভেঙে ঘরের মধ্যে থাকা ৫০ মণ ধান, ২০ মণ চাল ও নগদ চার লাখ ৫৫ হাজার টাকা,এবং ১৪৪০ফুট ঢেউটিন লুট করে বাড়ির থেকে আমার স্ত্রী সেতারাকে জোরপূর্বক বের করে বাড়ির দখল করে নেয়। এবং জাহাঙ্গীর আলমগীর গংরা সেতারা বিবিকে একা পেয়ে হত্যার হুমকি দেয়।

ভুক্তভোগী সেতারা বিবির স্বামী এসলাম প্রতিবেদক কে জানান,আমার ৭১৩নং বাড়ি দখল করার পর থেকে মাটির দেয়াল এ সাথে টিনের ছাউনি লাগিয়ে বসবাস করছি। এ ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি

গ্রামবাসী বনি ইসরাইল জানান, সেতারার স্বামী এসলাম কাজের জন্য ঢাকায় অবস্থায় বাড়ি দখল করে নিয়েছে। তারা ওই বাড়ীতে দীর্ঘ ১২-১৩ বছর যাবত বসবাস করে আসছিল। বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলছিল জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো সমাধান করতে পারেননি।