পৌষ মাসের হাড় কাঁপানো শীতে সারা দেশের ন্যায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল।

মোঃ আরশাদ আলী সাতক্ষীরা থেকে।

অন্যান্য জেলার নয় সাতক্ষীরা সহ আশপাশের এলাকায় কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে অলাশ করে ফেলছে সব শ্রেণীর মানুষদের। পৌষের শীতের সাথে বয়ে যাওয়া মৃদূ শৈত্যপ্রবাহে শীতের তীব্রতা অধিক বেড়েছে। গত কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা ঠিক মত পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের অধিকাংশ সময় ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভ্যান রিক্সা ও কৃষিকাজ থেকে শুরু করে অফিস পাড়া এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্য স্হবিরতা নেমে এসেছে। তীব্র শীতে হতদরিদ্র মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা রয়েছে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে। হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে বোরোর বীজতলা ও আমের মুকুল। ফলে এবার বোরো ও আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জুন নিয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলার অসহায়ও হতদরিদ্র মানুষদের শীত নিবারণের জন্য সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতা তেমন চোখে পড়ছে না। কিছু স্থানে যা দেয়া হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। সকাল ও রাতে অনেক স্থানে যেয়ে দেখা যায় যুবক ও বয়স্কদের খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের জন্য চেষ্টা চালাতে। এ ব্যাপারে সরকারি বেসরকারি ও উধ্যাতন কর্তৃপক্ষের কাছে শীত নিবরনের জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা কামনা করেছেন সাতক্ষীরা হত দরিদ্র মানুষরা।