প্রতিবেশী লাশ আনতে গিয়ে নিজেই লাশ হয়ে ফিরলেন বাড়ি।

মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে প্রতিবেশীর আনছার বেপারী লাশ আনতে গিয়ে সায়েদ খা,র ছেলে ছালাম খা নিজেই লাশ হয়ে ফিরে এলেন পরিবারের কাছে।ছালাম খা এর মৃত্যুে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে বাবা মা ভাই বোনসহ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন।

জানা যায়,গত ৯-১-২৪ ইংরেজি রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় মাছ ধরা ছোট টলার নিয়ে এলাকার সাতজন যুবক প্রতিবেশী মৃত হাসেম বেপারী ছেলে আনছার বেপারী লাশ পানপট্রি ঘাটে আনতে যাওয়ার সময় চর কাজল ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের পাঙ্গাসিয়া মোহনার কিছু আগে টিসিবির পন্যসামগ্রিই বাহী টলারের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লেগে ছোট টলারটি
ডুবে যায়।ছোট টলারে থাকা সাত জনের মধ্যে একজন আহত আর পাঁচজন কে অক্ষত অবস্থা পাওয়া গেলেও সালাম (৪৫)কে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ১০ঘন্টা ভোর পাঁচটার সময় জেলেদের জালে ছালামের মরাদেহ পাওয়া যায়।

এবিষয় ছোট টলারে থাকা আহত মোঃ শাহিন হাওলাদার বলেন,পাঙ্গাসিয়ার মোহনা মোরে যখন পড়েছি,আমাদের সামনের দিকে থেকে মালবাহী বড় টলারটি এসে আমাদের টলারের উপর উঠেয়ে দেয়,তারপর কি হয়েছে আমি আর বলতে পারিনা।তবে বড় টলারে কোন সিগন্যাল দেওয়ার মত কোন লাইট ছিলোনা।

ডিলার সুমন বলেন,আমরা শিতের কারণে টলারের ভিতরে ছিলাম এমন সময় দেখি আমাদের মালবাহী টলার দুলতেছে।হঠাৎ দেখি ৬-৭জন লোক সাঁতরাই তেছে। আমরা ছয়জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি, সালাম নামের ব্যক্তিকে আমরা অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।

বড়টলারে মাঝি সাইদুল বলে,আমি যখন পাঙ্গাসিয়া মোর ঘরি ঘন কুয়াশা কারণে সামনের দিকে কিছু দেখা যায় না।তারপর কি হয়েছে তা আমি নিজেও জানিনা।

এই বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে,তার পর সজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।