বরিশাল ৬ আসনের নৌকা প্রার্থীর খিচুড়ির আয়োজন বন্ধ করল প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা।।বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাফিজ মল্লিকের জনসভা ছিল স্কুল মাঠে। জনসভায় আগতদের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খিচুড়ি রান্নার বিষয়ে অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের শামসুল আলম। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। বিদ্যালয় মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খিচুড়ি রান্নার আয়োজন বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

নৌকা প্রতীকের জনসভার জন্য নেওয়া হয়েছিল স্কুল মাঠ। আজ বুধবার বিকেল ৪টায় জনসভার সময় নির্ধারণ হলেও সকাল থেকেই চলছিল খিচুড়ি রান্নার কাজ। প্রায় ১০টি ড্যাগে স্কুলের মাঠেই রান্নার আয়োজন করা হয়। বিষয়টি জানতে পারেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এসে দুপুরেই তিনি বন্ধ করে দেন রান্নার কাজ।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া বিলকিস জাহান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে।

বিলকিস জাহান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের জনসভা করার জন্য তারা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চাইলে তাদের দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমাদের স্কুল টাইম দুপুর ১টা পর্যন্ত আর তাদের জনসভা বিকেলে তাই আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’

বিদ্যালয় মাঠে খিচুড়ি রান্না করার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ার পর তারা খিচুড়ি রান্না করেছে।

গারুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাইয়ুম খান বলেন, ‘স্কুল মাঠ দখল করে নৌকা প্রতীকের জনসভা করা হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন কয়েক ড্যাগ খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে মাঠে বসে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী শামসুল আলম চুন্নু বলেন, ‘স্কুল মাঠ দখল করে জনসভা ও মাঠের মধ্যে ৮-১০ ড্যাগে খিচুড়ি পাক করার বিষয় আমরা সরকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।শুনেছি তিনি রান্না বন্ধ করলেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিকের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ মুন্না বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। তারা কী কী আয়োজন করেছে সে বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে রান্না করার প্রমাণ পেয়েছি। পরে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি