রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে ব্ল্যাকমেইলসহ মাদক বাণিজ্য ।

নিজস্ব প্রতিবেদন ।
রাজধানীর বনানী এর ১১ নাম্বার রোডে( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসাসহ ব্ল্যাকমেইলের রমরমা বাণিজ্য। নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে এই অবৈধ ব্যবসা ও ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকাণ্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় পুলিশের নাকের ডগার উপরে প্রকাশ্যেই চলছে ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে মাদক ও দেহ ব্যবসার রমরমা আয়োজন।

তেমনি এক অর্থলোভী ( QD’S )সিসা লাউঞ্জ ব্যবসায়ীর নাম ,,ফজলে রাব্বি ও ফাহিম,, । তিনি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ও নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও পরে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ,, ফাহিম,, টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে সেন্টারে ডেকে এনে বিভিন্ন উপায়ে করছেন ব্ল্যাকমেলই।

এব্যপারে সরজমিনে ওই ( QD’S )সিসা লাউঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, উঠতি বয়েসের তরুণীরা অশ্লীল কায়দায় বসে আছে। এখনে কর্মরত এক ব্যক্তির সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকে এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে সাংবাদিক বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ও প্রতিবেদকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়,, ফাহিম ,, বনানী এলাকায় সিসা লাউঞ্জের অপরাধ জগতের মাফিয়া হয়ে উঠেছে। একটি ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ও ফ্লাট ভাড়া নিয়ে ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও আধুনিক পতিতাবৃত্তির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিজাত এলাকাকে পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর বনানীতে সিসা লাউঞ্জ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের তৎপরতায় এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। নষ্ট হচ্ছে সামাজিক ভারসম্য।

এধরনের অবৈধ ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো বোন, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, সাংবাদিকের বন্ধু, এমনকি স্থানীয় নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এ যেন কানামাছি খেলা। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে।

বনানী সোসাইটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দূর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

এ ব্যাপারে বনানী থানার ওসিকে  মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।