শ্যামনগরের চৌদ্দরশি লঞ্চঘাট নিয়ে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।

শ্যামনগরের চৌদ্দরশি লঞ্চঘাট নিয়ে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
…………………..
রাকিবুল ইসলাম
এ অঞ্চলের মানুষের বেড়ে ওঠা বছরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে। বলছি বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার একটি দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার কথা। উক্ত ইউনিয়নটি উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম একটি অবহেলিত অঞ্চল।
সাম্প্রতি কথা উঠেছে উক্ত ইউনিয়নে অবস্থিত একটি লঞ্চ ঘাট নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল স্থানীয়দের কষ্টের কথা। স্থানীয়রা বলেন তাদের শহরে যাওয়ার জন্য সহজ ও বেশি ব্যবহারিত হয় এই লঞ্চ ঘাটটি এবং উক্ত লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন একটি মৎস্য আড়ৎ থাকায় প্রতিদিন গড়ে হাজারো মানুষের ওঠা নামা হয়ে থাকে এই ঘাট দিয়ে।
তারা জানান এই ঘাটটি সৃষ্টির শুরু থেকে অনেক অবহেলিত। গত ২০১৬ সালের শেষের দিকে এই ঘাটে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক একটি পল্টন প্রদান করা হয়।
স্থানীয়রা আশাবাদী হলেও পরবর্তীতে এই পল্টনে ওঠানামার জন্য ভালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার জন্য প্রায় সময় শোনা যায় উক্ত পল্টনে ওঠানামা করতে যেয়ে বিভিন্ন দূর্ঘটনার খবর। বেশি ঝুঁকিতে থাকে বৃদ্ধ, শিশু এবং গর্ভবতী মায়েরা। স্থানীয়রা আরও জানান তাদের এই ঘাট দিয়ে মালামাল বহন করতে অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে এবং নদীতে যখন ভাটা থাকে তখন মালামাল বহন করা সম্ভব হয় না।
এর প্রতিকার হিসেবে উক্ত ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি করেন-তাদের এই যাতায়াত ব্যবস্থাটি যেন দ্রুত মেরামত করা হয় যাতে মানুষের ঝুঁকি না থাকে।