সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনার মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯ তম জন্মাষ্টমী পালন

নবকুমার দে, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার তুলসী ডাঙ্গা গোয়ালঘাটা সার্বজনীন পূজা মন্ডপে কলারোয়া পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে কলারোয়া ১২ টি ইউনিয়ন থেকে আগত ভক্তবৃন্দের আগমনের মাধ্যমে পরম ব্রহ্ম, লীলা পুরুষোত্তম, মুরলী- মনোহর অবতরবরিষ্ঠ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯ তম শুভ আবির্ভাব তিথি “জন্মাষ্টমী উৎসব “১৪৩০
পালিত হয়।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭.৪০ মিনিটে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন কলারোয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী। অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্রের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম (লাল্টু)। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা, সাবেক কৃষকলীগ সভাপতি সাতক্ষীরা জেলা, বিশিষ্ট সমাজসেবক, তালা- কলারোয়া-১ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশ্বজিৎ সাধু।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, ওয়াকার্স পার্টির কলারোয়া উপজেলা সভাপতি আব্দুর রউফ।
প্রধান আলোচক বিশ্বজিৎ সাধু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২ তম আবির্ভাব তিথিতে ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কোকিল দেখেছেন কোকিলের স্বরটি কত সুন্দর লাগে। কাক দেখেছেন, কোকিল ও কালো কাক ও কালো তো কাকের স্বর ভালো লাগে না। সেজন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন একই রকম দেখতে হলেও তার সব কিছু সুন্দর নয় যেটা ভালো লাগে সেটা বিশ্বাস হয়। যে মানুষ সৎ ও সৎ ভাবে জীবন যাপন করতে চায়, যার সুন্দর প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে আকর্ষণ করতে চায় সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ জীবের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে চায় সেই ভালোবাসার দিকেই আপনারা থাকবেন। আরো বলেন আপনারা জানেন যে পিতা – মাতা তিনি সন্তানদেরকে খাবার না দিয়ে বিশেষ করে মা খাবার খান না। পিতা বাড়ি এসেই বলেন যে আমার সন্তানাদির কি খাওয়া দাওয়া হয়ে গেছে? তার মাকে জিজ্ঞাসা করে, কিন্তু মা সবাইকে না খাইয়ে নিজে খান না এটা আমাদের সংস্কৃতির ধারক বাহক। ভগবান আমাদের সকল প্রানী কুলের সৃষ্টিকর্তা সেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা রাখতে হবে, আমরা যখন মনুষ্য জীব পেয়েছি তখন সকল প্রাণীকুল, গাছপালা সকল কিছু রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মায়ানমার থেকে যে ১২ লক্ষ মানুষ এসে বসে আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে রক্ষা করছেন আহার দিচ্ছেন। ১৯৭১ সালে এক কোটি মানুষকে খাইয়েছিলেন তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাকে আমরা তখন দেবী বলে আখ্যায়িত করতাম। আমরা সেই দিক চিন্তা করে আজকের জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জন্য সেই কাজগুলো করে যাচ্ছেন। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার উৎসব সবার। তিনি সকলকে সুখে শান্তিতে থাকার আহ্বান জানিয়ে সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
দুপুর ২টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কলারোয়া বাজার প্রদক্ষিণ করে ফিরে এসে সকলে প্রসাদ গ্রহণ করেন।