সোনাবাড়ীয়া বাজারের মাহাবুব মিষ্টান্ন ভান্ডারে খাদ্যের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ের রং

সোনাবাড়ীয়া বাজারের মাহাবুব মিষ্টান্ন ভান্ডারে খাদ্যের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ের রং

সেলিম খান কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি ঃ

কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়ন বাজারের মোড়ে মাহবুব মিষ্টান্ন ভান্ডারে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ের রং, তরকারিতে দেয়া হচ্ছে পচা ঝাল দুর্গন্ধযুক্ত পিয়াজ। কলারোয়া উপজেলার মুড়ালিকাটি গ্রামের ওহিদুল ইসলাম মাহবুব মিষ্টান্ন ভান্ডার পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু তিনি কোনরকম মানছেন না পরিবেশ বা খাদ্যের নীতিমালা।
রবিবার দুপুরে সোনাবাড়ীয়া বাজারের মাহবুব মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে দেখা যাই খোলা আকাশের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে মিষ্টি তৈরির কাঁচামাল। দুর্গন্ধ পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে মিষ্টির মতন মুখ রোচক খাবার। সাংবাদিকের উপস্থিতিতে দেখে কাপড়ের রং ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাই ফয়সাল নামে এক কারিগর। সেই রং সম্পর্কে প্রশ্ন করলে ফয়সাল সাংবাদিকদের কে জানান কাপড়ের রং স্বীকার করে বলেন এটা আমরা জিলাপিতে ব্যবহার করে থাকি এছাড়া অন্য কোন কিছুতে আমরা ব্যবহার করি না। মিষ্টি সুস্বাদের জন্য যে শিরা ব্যবহার করা হয় সেটিও দীর্ঘদিনের পুরানো এবং ময়লা আবর্জনা যুক্ত দুর্গন্ধ আর সেটার মধ্যে ব্যবহার করা মিষ্টি বিক্রি করা হচ্ছে এই দোকানটিতে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা মাহবুব আলম সান্টুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন খাবারে রং ব্যবহারের ফলে মানব দেহের ক্ষতি পাশাপাশি হার্ট লিভার কিডনির ক্ষতি হতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এর ভয়াবহতা আরো বেশি বলে মন্তব্য করেন এই ডাক্তার।
এ বিষয়ে দোকান মালিক ওহিদুর ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি কাপড়ের রং ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন,আমি দুপুরের সময় একটু বাইরে থাকায় পরিবেশটা একটু ঠিক করা সম্ভব হয়নি। এ সময় তিনি বিভিন্ন নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে বাঁচার চেষ্টা চালায় সাংবাদিকদের কাছে।
এ বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা তোদেরকে বারবার সতর্ক করেছি জরিমানা করেছি। তবে এই কাজ বারবার করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তারা জানান।