হিলিতে ৪, ৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ২৪-২৫ টাকা

…………………………………………
মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি।।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে বসে আছন বিক্রেতারা। হিলিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও বাজারের দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ৩-৪ দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে। ৪ দিনের দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৪-২৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের মোকামে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। বেশি দামে কেনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছ। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে সামনের দিনে আরও দাম বাড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা
বাজারে পেঁয়াজ ব্যবসায় রুবেল হোসেন জানান,৩-৪ দিন আগেও তিনি প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি। এখন তাকে বিক্রি করতে হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। কারণ তাকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই তাকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দেশের পেঁয়াজে আরত গুলোতে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। পেঁয়াজের ব্যবসা এখন চলে গেছে মজুতদারদের কাছে। সাধারণ কৃষক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হাতে আর ব্যবসা নেই।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে বসে আছন বিক্রেতারা। ছবি: আজকের পত্রিকাব্যবসায় মামুনুর রশিদ জানান, দুদিন আগে তিনি পাইকারি পেঁয়াজ কিনেছিলেন ৫৫ টাকা কেজি। এখন তাকে সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬৮ টাকা কেজি দরে। বিক্রি করছেন ৭৩ থেকে ৭৫ টাকায়। তাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের করার কিছুই নেই। তারা প্রতিদিন পাইকারি পাঁচ বস্তা পেঁয়াজ কেনেন। সেগুলো দুই এক টাকা লাভে সারা দিন বিক্রি করেন। এ সময় ব্যবসা করছে মজুতদাররা। তারা বাজারে অবস্থা দেখে খুব কম পরিমাণ পেঁয়াজ ছাড়ছেন বাজারে, যার কারণে দাম বাড়ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আশা আছিয়া বেগম জানান, তাদের মতন মানুষের এখন হতাশা ছাড়া করার কিছুই নাই। বাজার করতে ৩০০ টাকা নিয়ে এসেছিলেন, পেঁয়াজ ঝাল কিনতে তার টাকা শেষ। কাঁচা বাজার করার মতো তার কাছে টাকা নেই। তার মতন অনেক মানুষ বাজার করতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি সরকারের কাছে দাবি জানা