এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার স্বামী ও সতীনসহ গ্রেপ্তার তিন।

মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর দশমিনায় মুগডাল ক্ষেত থেকে লাইলী বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ও সতীনসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড দক্ষিণ রণগোপালদী পাতারচর গ্রামে মুগডাল ক্ষেতে তিন সন্তানের জননী লাইলী বেগমের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় তারা ওই গৃহবধূর বাড়ীতে খবর দিতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পায়। তাদের সন্দেহ হলে নিহত গৃহবধূর স্বামী ও সতীনকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় আটক করে এলাকায় নিয়ে আসে।
পরে ওই গৃহবধূর স্বামী ফোরকান সিকদার (৪৮), সতীন মমতাজ বেগম (৪০) ও তাদের সহযোগি মঙ্গল গাজী (২৮) কে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল এবং এ ঘটনায় একাধিক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহতের পিতা পার্শবর্তী পাতারচর গ্রামের বাসিন্দা সামসুল হক বলেন, স্বামী ও সতীন মিলে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শওকত হোসেন বলেন, তিন দিন আগে নিহত লাইলী বেগমের সতীন মমতাজ বেগম ওই বাড়ীতে আসে এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান দৈনিক সকালের সময় কে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। নিহতের শরীরের আঘাত ও লক্ষণ সমূহে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকান্ড। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে হত্যা মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।