মোঃ আরশাদ আলী সাতক্ষীরা থেকে।।
গ্রাম পুলিশ সাইদুলের অত্যাচারে জন্মদাতা পিতা গর্ভধারিনী মা বাবা সহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ সাতক্ষীরা সুযোগ্য পুলিশ সুপার বিষয়টি দেখবেন কি?
ধুলিহরে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে গর্ভধারীনি মাতা ও পিতার নামের কার্ডের পাশাপাশি পর্তুগাল প্রবাসীর স্ত্রীসহ একাধিক মহিলার নামে ভিজিডি কার্ড করে উক্ত চাউল উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ, একাধিক গৃহবধুর সাথে পরকীয়া, মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সহযোগিতা সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বহু অপকর্মের হোতা,কুখ্যাত, লম্পট, মাদক ব্যবসায়ী ঐ গ্রাম পুলিশের নাম সাইদুল ইসলাম। তিনি সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক চৌকিদারের পুত্র এবং ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ।
প্রাপ্ত তথ্য ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের বহুল আলোচিত কুখ্যাত লম্পট নারী লোভী, মাদকসেবীও ব্যবসায়ী,ধুরন্ধর, প্রতারক ও ধান্দাবাজ সাইদুল চৌকিদার প্রবাসী পরিবার নামে খ্যাত আহম্মাদ আলী মোড়লের পুত্র পর্তুগাল প্রবাসী জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মহিমা খাতুনের নামে ও শালিকাডাঙ্গা গ্রামের প্রভাস ধনুকীর স্ত্রী ঝর্ণা রানী ধনুকি ও জনৈকা আনোয়ারা সহ একাধিক মহিলার নামে ভিজিডি কার্ড করে এবং উক্ত চাল উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করে। অথচ এসব কথিত কার্ডধারী সুবিধাভোগীর অনেকে নিজেরাও জানে না তাদের নামে ভিজিডি কার্ড থাকার বিষয়টি । এছাড়া গ্রাম পুলিশ সাইদুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন সু্যোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ জনৈকা গৃহবধূ শিউলি খাতুন( ছদ্মনাম) সহ একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে লম্পট সাইদুলের প্রধান টার্গেট থাকে প্রবাসীর স্ত্রী।বিষয়টি জানতে চাইলে প্রবাসী জহিরুল ইসলামের মা এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার বৌমা মহিমা খাতুনের নামে কোন ভিজিডি কার্ড নেই তবে শুনেছি সাইদুল চৌকিদার চিটারী করে অনেক লোকের ছবি ও আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে কার্ড করে এবং উক্ত চাল সে আত্মসাৎ করে ।স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম শরীফ সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সাইদুল চৌকিদার মহিমা খাতুন, ঝর্ণা রানী ধনুকী ও আনোয়ারা সহ একাধিক মহিলার নামে ভিজিডি কার্ড করে সে নিজেই উক্ত চাল উত্তোলন করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারী, মাদক সেবন ও বিক্রির সহযোগিতা সহ তার জন্ম দাতা পিতা কে মারধর ও গর্ভধারীনি মায়ের নামে একটি ভিজিডি কার্ড করে এবং ১০ কেজি করে ২ মাস চাল দিয়ে অবশিষ্ট চাল সে আত্মসাৎ করে বলে জানান তার পিতা আবু বক্কার সিদ্দিক ও মাতা বেগম। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থাকায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।বিষয়টি জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বাবা মা, তিন টি বোনের লেখাপড়া ও বিয়ে শাদী সহ তাদের ভরনপোষণ করার জন্য এসব করেছি। এসব আমাকে মেম্বর চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের ম্যানেজ করে করতে হয়।তাই নিউজ না করার জন্য জোর অনুরোধ করেন। বিষয় টি জানতে তার পিতার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান – গ্রাম পুলিশ সাইদুল ইসলামের মত কুলাঙ্গার সন্তান আল্লাহ যেন কাউকে না দেয়। ওর মায়ের নামে একটি শিশু কার্ড করে মাত্র দুই বার ১০ কেজি করে চাল দিয়ে আর দেয়নি, বাকি চাল সে আত্মসাৎ করেছে।আর আমার নামে একটি দশ টাকার চালের কার্ড হলেও ১ মাস চাল দিয়ে সে ক্ষমতার জোরে কেটে দিয়েছে। কিছু বললে সে আমাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।তার ভয়ে আমি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।কারন সে একজন মাদকাসক্ত।জোর করে আমার ইরি বোলাক টাও নিয়ে নিয়েছে। কথাগুলো আক্ষেপের সঙ্গে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলছিলেন তার জন্ম দাতা পিতা ধুলিহর ইউনিয়নের সাবেক গ্রাম পুলিশ আবুবক্কার ছিদ্দিক ।এব্যাপারে ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান আলঃ মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, আমি সাইদুল চৌকিদারের কার্ড দিয়েছি।যারা চাল পায়নি তাদের আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply