সেলিম খান সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ;
কলারোয়া উপজেলা দমদম নতুন বাজার পটল হাটের নিরাপত্তার না থাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন আহত। ঐতিহাসিক দমদমা নতুন বাজারে স্বাধীনতার পর থেকে সপ্তাহের প্রতি রবিবার পটল হাট বসে।দমদম নতুন বাজার পটল হাট কলারোয়া টু চান্দুরিয়া যাওয়ার একটি সড়ক। এ সড়কের পাশে বাজারটি বাংলা সালের পহেলা বৈশাখ থেকে চৈত্র মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এক বছর করে নিলাম এর মাধ্যমে বাজার নিয়ে থাকে বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা। ১৪৩০ বাংলা বছরে হাট নিলাম নেন হেলাতলা ইউনিয়নের গনপতিপুর গ্রামের আব্দুল সালাম নামে এক ব্যাক্তি।অন্যান্য বছরে যে সকল ব্যাক্তি হাট ডাক নেন তারা হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের দুই জন গ্রাম পুলিশ দ্বারা রাস্তা জ্যাম নিরসনে কাজ করে। কিন্তু আব্দুল সালাম কোন গ্রাম পুলিশ না রেখে ব্যাস্ত সড়কের উপরে হাট চালিয়ে যাচ্ছেন যার ফলরূপ আজ ১৭ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিশু ছাত্রী ও মোটর সাইকেল দূর্ঘটনার শিকার হয়। তবে তারা দুই জন এখন কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গিয়েছেন।
এ ঘটনার পর দমদম নতুন বাজার পটল হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোন প্রকার গ্রাম পুলিশ না নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষকে হাত করে হাট পরিচালনা করছে হাট কমিটি।যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিং করে জ্যাম বৃদ্ধি করেছেন হাটের পটল নিতে আসা ব্যাবসায়ীরা।পটল হাটের ভিতরে গাড়ি ঢোকার জন্য নেই পর্যাপ্ত জনপথ। পটল বিক্রি করতে আসা সাধারণ কৃষক বা পথচারীদের নেই জীবনের নিরাপত্তা।
এবিষয়ে সাংবাদিক- তাদের কাছে রাস্তায় জ্যাম নিরসনে কোন গ্রাম পুলিশ বা কমিটির লোক নেই কেন জানতে চাইলে হাট কমিটির একজন বলেন সরকারি হাটের জায়গা কম তাই রাস্তায় জ্যাম হবে। কিন্তু সরকারি রাস্তার পাশে আগেও মানুষ হাট কমিটি হাট পরিচালনা করেছে সে সময় গ্রাম পুলিশ থাকতো।
এখন গ্রাম পুলিশ নেই কেনো? এই প্রশ্নের জবাবে তারা জানান তাদের চার জন লোক রাখা আছে কিন্তু তারা সাংবাদিকদের তা দেখাতে পারেনি।
এবিষয়ে স্হানীয় বাজারের মানুষ বলেন এরা কোন নিয়ম মানে না।তারা তাদের মত হাট পরিচলনা করছে।সাবেক মেম্বার মাজেদ মোড়ল এর আগের বছর হাট ডাক নিয়েছিলেন সে সময় রাস্তার মানুষের চলাচলের রাস্তা পরিস্কার করতেন।স্থানীয় বাসিন্দা আরও বলেন হাটের সময় জ্যাম হয় তাই বলে এতটা বাজে ভাবে হাট পরিচলনা করলে দূর্ঘটনা হবে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী বলেল এই বাজার দুইটি হাট রবিবার ও বৃহস্পতিবার কিন্তু রবিবার সকাল থেকে আমাদের দোকানের সামনের বন্ধ হয়ে যায় হাট কমিটির বারবার বলেও ব্যাবস্থা হয় না।
এবিষয়ে স্হানীয় বাসিন্দা ও বাজার ব্যাবসায়ীরা কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তবে এবিষয়ে কলারোয়া নির্বাহী কর্মকর্তার ফোনে একাধিক ফোন করে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply